দেজা ভু: ভবিষ্যৎ
দেখার এক অদ্ভুত ব্যাধি
দেজা ভু ও তার ইতিহাস!!!
#দেজা ভু এবং কারিন জ্বিন এর সম্পর্ক,,,,!!!
Deja Vu: যার ইংরেজি অর্থ দাড়ায় "Already Seen" আর বাংলায় যাকে বলা যেতে পারে "এর আগে দেখা/কোনো কাজ করার আগে মনে হওয়া এটা আগে করেছি।আপনি হঠাৎ কোনো এক জায়গায় গেলেন।
মনে হল আপনার পূর্ব পরিচিত অথচ আপনি মনে করতেই পারছেন না সেটা আপনি কোন সময় দেখেছেন। কোনো মুভিতে? নাটকে? ছবিতে?
আপনি ভেবেই পেলেন না।
আপনি কোনো একজনের সাথে দেখা করলেন। তার সাথেও একজন মানুষ ছিল। আপনার মনে হল সেই মানুষ টিকে আপনি চিনেন।
অথচ তাকে দেখেনই নি কখনো!!!!
কেন হয় এসব? কি কারণ এর পেছনে?
চলুন যেনে নেই!!!
জ্বীণ তত্বঃ এটা আমার নিজস্ব তত্ব।
আমরা সবাই জানি জ্বীণের অনেকগুলো
প্রকারভেদ রয়েছে। ক্বারিন নামের এক
প্রকার জ্বীণ আমাদের সাথেই থাকে।
,
ক্বারিন সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেন: ﻭَﻣَﻦ
ﻳَﻌْﺶُ ﻋَﻦ ﺫِﻛْﺮِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﻧُﻘَﻴِّﺾْ ﻟَﻪُ ﺷَﻴْﻄَﺎﻧًﺎ ﻓَﻬُﻮَ ﻟَﻪُ ﻗَﺮِﻳﻦٌ
অর্থঃ “যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ
থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে
এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-
ই হয় তার সঙ্গী ( ﻗَﺮِﻳﻦٌ)।” ***সূরা যুখরুফ; আয়াত:
৪৩:৩৬।
,
ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের
সাথেই শয়তান জ্বীণ থাকে, সঙ্গী হিসেবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে
একজন ক্বারিন (সঙ্গী) দেওয়া হয়েছে।”
সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন: “এমনকি
আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল? তিনি
বললেন, “হ্যা, কিন্তু এখন সে আমাকে শুধু ভাল
কাজ করতে বলে।” ***সহীহ মুসলিমঃ ৭১৩৪।
এখান থেকে ইসলামিক মতে দেজা আমি
ব্যাখ্যা করবো।
আমরা জানি জ্বীণ মানুষের
থেকে বেশী বছর বাচে, ধরুন জ্বীণদের গড় আয়ু
৫০০/৭০০ বছর আর মানুষের ৬০/৭০ বছর। কিন্তু
একজন মানুষের সাথে যদি একটি ক্বারিন
জ্বীণ থাকে, সে মানুষ মারা যাবার পরে সে
ক্বারিন জ্বীণ কই যাবে? নিশ্চই আরাকজন
মানুষের কাছে। কারন ক্বারিন নামক জ্বীণ
মানুষের সাহচার্য ছাড়া থাকেনা। এটা ওদের
বৈশিষ্ট। তো ধরুন Mr.A এর সাথে Mr.B নামক
একটি ক্বারিন জ্বীণ আছে, Mr.A যখন মারা
যাবে Mr.B তখন আরাকজন নতুন জন্ম নেয়া Mr.C
এর সাথে মিশে যাবে। এখন Mr.A এর সাথে
Mr.D এর কিছু স্মৃতি থাকে যা Mr.J বয়ে
বেড়ায়, কারন জ্বীণদের ও নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা
ও স্মৃতি শক্তি আছে। আর শয়তান জ্বীণদের
কাজ ই হলো মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া।
তো এখন Mr.C এর সাথে যখন Mr.D বসবাস শুরু
করবে, তখন যখন Mr.C কোনো নতুন যায়গায়
যাবে যেখানে ঠিক Mr.A আগে গিয়েছিলো,
সেই স্মৃতি এখন Mr.D এর দ্বারা Mr.B এর কাছে
চলে আসবে আর সেটিই হবে দেজা ভূ। কারন,
এখন Mr.B দেখবে Mr.A এর স্মৃতি, আর এটা Mr.B
এর কাছে আবছা মনে হবে কারন এটা সরাসরি
Mr.B এর স্মৃতি নয় বরং এটা ক্বারীন জ্বীণ
মানে Mr.D এর স্মৃতি।
,
প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক শংকরাচার্জ
জগতের সবই মায়া। তার মতে ব্রহ্মই হয়ত
ছিলেন সেই মহা প্রোগ্রামার।”
আমাদের অস্তিত্ব কি কোনো সিমুলেশন — এ
নিয়ে অর্থাৎ আমাদের অস্তিত্বের সমস্যা
নিয়ে অনেক সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম হয়েছে।
এর মধ্যে অনেকগুলো আছে বিখ্যাত। তবে
আমি যে মুভিটার কথা বলব সেটা বিখ্যাত নয়,
আন্ডাররেটেড মুভি। নাম “একজিসটেনজ”।
১৯৯৯ সালে নির্মিত কানাডিয়ান সায়েন্স
ফিকশন ফিল্ম। শুরু হয় একটা নিকট ভবিষ্যতে।
যেখানে গেম প্যাডের পরিবর্তে অর্গানিক
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম কনসোল ব্যবহার
করা হয় এবং যা যুক্ত করতে হয় একটি বায়ো
পোর্টের মাধ্যমে। গেমে প্রবেশ করার পর
কোনটা বাস্তব এবং কোনটা গেম তা
খেলোয়াড়েরা পার্থক্য করতে পারে না।
যেখানে তারা মনে করবে বাস্তবেই তারা খেলছে।
প্রকৃত পক্ষে আদৌ তা ঘটে না।
এত দূরেই বা কেন যাচ্ছি, কিছুদিন আগের
আলোচিত মুভি “এভেটার” ই দেখিনা।
বাস্তব আর কল্পনা শক্তি দুটোর মিলন কতটা আকর্ষিক তা কত অবলিলায় দেখতে পেলাম মুভিটিতে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুভিটি দর্শকের আগ্রহ
ধরে রাখতে সক্ষম। এবং শেষদিকে এসে
দর্শককে ছুঁড়ে দেয় অস্তিত্বের প্রশ্ন। মুভিটি
দেখতে দেখতে মনেও হবেনা আপনি কোন
জগতে আছেন। বুঝতে পারবেন না বাস্তবের সাথে এর মিলই কোথায়?
মনের মধ্যে প্রশ্ন যেন থেকেই যাবে "এটা কি সত্যিই সম্ভব? নাকি ভুলের জগত"
নাকি মস্তিষ্কজীবীদের বানানো ছেলেখেলা?
0 Comments