Tricks Boss BD - Know Best knowledge from here: ইসলাম-ও-জিবন
Showing posts with label ইসলাম-ও-জিবন. Show all posts
Showing posts with label ইসলাম-ও-জিবন. Show all posts

Monday, March 18, 2019

কাদের সাথে চিরস্থায়ী বিবাহ হারাম

23:18 0
কাদের সাথে চিরস্থায়ী বিবাহ হারাম
মাহরম কারা? কাদের সাথে বিবাহ হারাম?

মাহরাম: মাহরাম বলা হয় এমন পুরুষ দের যার সাথে কখনও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয নেই।

শরিয়তের মতে যাদের সাথে বিবাহ চিরস্থায়ী ভাবে  হারাম কিন্তু দেখা শুনা জায়েয তারা হলেন।

১. ছেলের________সাথে___________মা
২. ভাগিনার________সাথে___________খালা
৩. পিতার________সাথে___________কন্যা
৪.জামাতার________সাথে___________শাশুড়ি
৫.ভাতিজার________সাথে___________ফুফু
৬. ভাইয়ের ________সাথে___________বোনের
৭ চাচার________সাথে___________ভাতিজি
৮. দুধ ছেলের ________সাথে___________দু মা
৯. নাতির________সাথে___________দাদী
১০. নানার________সাথে___________নাতনী
১১. নাতির________সাথে___________নানী
১২. পিতার ________সাথে___________সৎ মেয়ের
১৩. দাদার________সাথে___________ নাতনীর

এসব নিয়ে খুব সুন্দর একটা বচন হল.....

মা, দাদী, নানী আর নাতনী পুতনী
দুধ-মাতা, দুধ-বোন, শাশুড়ি, ভাগনি
বেটি, ফুফু, খালা আর ভাতিজী ভাগনী
এই চৌদ্দজন জান হারাম একিনী।


ভাসুর ও দেবরের সাথেও কি পর্দা করবে?

23:13 0
ভাসুর ও দেবরের সাথেও কি পর্দা করবে?

ভাসুর ও দেবরের সাথেও কি পর্দা করবে?


একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন " তোমরা ঐ সকল পুরুষদের নিকট গমন করবেনা,  যারা তোমাদের জন্য মাহরাম নয়""
একজন সাহাবী জিজ্ঞাস করলেন " ইঢা রাসুলুল্লাহ!  ভাসুর,  দেবর এবং শ্বশুর ব্ড়ীর আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে শরীয়তের নির্দেশ কি?
'রাসুলুল্লাহ বলেন "তারা তো মৃত্যু(সমতুল্য) অথ্যাৎ তোমরা মুত্যুকর যে রুপ ভয় কর,  অনুরুপ ভাবে শ্বশুর বাড়ীর পুরুদের ভয় কর, এবং তাদের সংশ্রব থেকে বেচে থাকা উচিত।
এমনকি তাদের সামনেও না যাওয়া উচিত।
কারণ শ্বশুর বাড়ীর পুরুষদের নিকট আত্মীয় মনে করে তাদের কে কাছে বসায় এবং হাসিট তামাশা ও কৌতুকপূর্ণ কথা বার্তা বলে  অনেক সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
অতএব। এসব করা নাজায়েয এবং কবিরাহ গুনাহ্।

অনেক মহিলা এমন আছে যারা ছোটবেলায় দেবরকে লালন পালন করেছে বলে বড় হলেও তাদের সম্পর্কে এটা বলে যে, সে তো আমার হাতেই লালিত পালিত হয়েছে, তার সাতে আবার পর্দা করব কেন?

পরিষ্কার ভাবে এই কথা টি ভুল এবং যুক্তিহীন।

দেবর যখন ছোট ছিল।  নাবালেগ ছিল তখন সে কিছুই বুঝতো না। এখন তার বয়স হয়েছে।  সে বড় হয়েছে এবং সব বুঝতে শিখেছে।
পর্দার আড়ালে আড়ালে যা আছে তা বুঝার বাকি নেই।
কেউ কেউ বলে, মন পরিষ্কার থাকলেই তো হয়।
প্রথাগত পর্দার প্রয়োজন কি?
শরিয়তের কোন হুকুমের সামনে মনগড়া দলিল পপেশ করা এবং নিজের বুঝ হিসেবে শরিয়তের  বিরোধিতা করা বড় কঠিন গোনাহ্।

বিঃদ্রঃ যেমন ভাবে ভাসুর এরং দেবরের সাথে পর্দা করার ব্যাপারে অসতর্কতা অবলম্বন করা হয় টিক সেই ভাবে মামাতো ভাই,  চাচাতো ভাইদের সাথেও পর্দা করা হয় না। 
অথচ এদের সামনে যাওয় জায়েয নেই। এরা সকলেই গাইরে মাহরাম।

গাইররে মাহরাম সম্পর্কে কিছু বিধি নিষেধ:

১. কোনো সম্প্রদায়েরর এমন আছে যে,  নতুন বিবাহ করা বধুকে ঘরে আসা মাত্র দেখানো হয় এবং বংষের অনেকেই সেখানে উপস্হিত থাকেন।
এদের মধ্যে গাইরে মাহরাম পুরুষও থাকেন।
এসব করা মোটেই জায়েয নয়। বরং কবিরা গোনাহ হবে।
২.কোনো গাইরে মাহরামের সাথে নির্জনে শয়ন করা,  বসা কিংবা কথা বলা জায়েয নেই।
যদিও তারা দূরত্ব বজায় রেখে নির্জনে অবস্থান করে।
এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমাইছেন "যখন কোনো পুরুষ এবং কোনো মহিলা নির্জনে অবস্থান করর তখন তাদের সাথে তৃৃতীয় ব্যাক্তি থাকে আর সে অবশ্যই শয়তান হবে""
৩. কোনো কোনো মহিলা বাজারে গিয়ে চুড়ি কিনে।
অনেক মহিলা অনেক সময় দুকানীর হাতেই নিজের হাতে চুড়ি পরে। এটা করিবাহ্ গুনাহ্।