Tricks Boss BD - Know Best knowledge from here: অসমাপ্ত-লেখনি
Showing posts with label অসমাপ্ত-লেখনি. Show all posts
Showing posts with label অসমাপ্ত-লেখনি. Show all posts

Wednesday, June 26, 2019

আজ তুমি ভয় কে জয় করতে সিখে গেছ

11:57 0
আজ তুমি ভয় কে জয় করতে সিখে গেছ
আজ তুমি ভয় কে জয় করতে সিখে গেছ.......


পিছ ঢালা পথে যখন খুব পিচ্ছিল শেওলা জমা হয় তখন পথটা কতটা ভয়ানক হয় তা দেখেছ নিশ্চই?
আচ্ছা?  কখনো পুকুর ঘাটে শেওলায় পা পিছলে কখনো পড়ে গিয়েছিলে?

কোনো একদিন স্কুল থেকে কিংবা কলেজ থেকে ফিরছিলে।  প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে সে দিন।
বৃষ্টির সাথে সাথে প্রচন্ড রকমের বাতাস বইছিল।
তুমি কোনো মতে বই গুলো বাচিয়ে মাথায় বৃষ্টি নিয়ে হয়ত চলে গিয়েছিলে বাসায়।
পথে যখন কাউ কে দেখেছিলে তখন হয় তো ভয় করছিল।
কিংবা সন্দেহ হচ্ছিল প্রচুর।

একদিন তুমি অনেক ছোট ছিলে।
তোমার মা তোমাকে একটি অপরিচিত জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
তুমি সেখানে নিজেকে মানাতে পারছিলেনা।
তুমি কান্না করছিলে।  তোমার মা বুঝতেই পারেন নি তোমার যে সেখানে ভাল লাগছে না।

জিবনে প্রথম যে দিন তুমি জুতা পরতে শিখছিলে তখন তোমার বয়স হবে তিন-চার।
এর আগে পরলে হয়ত তোমার মনে নেই।
প্রথম যখন তোমার জন্য জুতা কেনা হয়েছিল তখন তুমি খুবই আনন্দিত।
তুমি জুতা জোড়া উল্টো পরতে।
হয়তো বড় বোন কিংবা ভাই অথবা বাবা কিংবা মা তোমার ভুল করে উল্টো জুতা পেরতে দেখে হেসে দিয়ে বলেছিলেন "ওরে বোকা জুতা পরতে হয় এভাবে""
তুমি দু এক বার ভুল করেছিলে।
তারপর আর হয় নি।
কারণ এর পর ভুল করলে তুমি জানতে যে তারা তোমায় "বোকা" ডাকতো।

কোনো এক গণিতের ক্লাসে তুমি অংক শিখে যাওনি।
তোমার ক্লাসের শিক্ষক ছিলেন কঠোর।
সে দিন তোমার প্রচন্ড ঘৃণা হয় নিজের প্রতি।
ইস্ যদি আমি ভাল ভাবে পড়তে পারতাম তবে আজ আর শিক্ষকের হাতে মার খেতে হত না।
তুমি পুরো ৬ টা ঘন্টা গুটিসুটি খেয়ে বসে থাকতে।
তোমার ভয় হয় যদি শিক্ষক কিছু বলে।

একদিন তোমার বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে বের হলে।
সবাই যে যার মত চলে গেল।
তুমি সুধু একাই থাকলে।
তখন তোমার প্রচন্ড ভয় হতে লাগল।
তুমি বাসা পৌছবে কি ভাবে একা একা।
হয়তো কেউ একজন তোমাকে নিয়ে যেতে চাইছিল কিন্তু তুমি তা চাও নি।
তারপর অন্য কাউকে নিয়ে তুমি বাসায় গিয়েছিলে।
তবুও তোমার মনে ভয় কাজ করছিল।

একদিন তোমার ক্লাস ৯ টায় ছিল।
তুমি এমন সময় বের হলে সে সময় রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না।
তুমি অবাক করার মত হাটা হেটেছিলে এবং তুমি ঘড়ি পযন্ত দেখলেনা
শেষমেষ তুমি সবার আগে পৌছেগেলে।
কারণ তুমি সব সময় সবার আগেই থাক
তুমি পিছনে পড়তে প্রচুর ভয় পাও।

একদিন তোমার জ্বর হয়।
ডাক্তারের কাছে তুমি যাওনি।
রাতে হঠাৎ অতিমাত্রায় জ্বর আসে গায়ে
তুমি শীতে জমে যাবার মত অবস্হা।
তখন শরীরে কোনো শক্তি নেই তোমার।
তুমি নিজের প্রতি কিছুটা বিরক্ত হলে।
কারণ তুমি আগেই ডাক্তারের কাছে গেলে তোমার আর ততটুকু কষ্ট হত না যত টুকু পেয়েছ।
তখন আর তোমার পরবর্তীতে  সে ভুল করনি।
কারণ এই ভয়ে যে,  তুমি কষ্ট পাবে।

একদিন তুমি একজন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হলে।
মানুষ টা খুব ভাল!  তুমি তাকে পছন্দও কর।
কিন্তু তুমি একদিন বুঝতে পারলে মানুষ টা কত্ত খারাপ।
সে দিন থেকে তুমি ভয় পাও নতুন মানুষের সাথে মিশতে।

সে দিন তুমি সিএনজি তে একা উটেছিলে।
সুধুমাত্র তুমি আর ড্রাইভার।
তুমি আচমকা ভয় পেতে লাগলে।
হঠাৎ-ই গাড়িটা থেমে গেল, তোমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।
হাত পা কাঁপতে লাগল।
ভয়ে তুমি আল্লাহ্-খোদা ঢাকতে লাগলে।
টিক তখনই কোনো একটা মেয়ে তোমার পাশে উটে বসল।
সে দিন তুমি প্রথম বুঝেছিলে বিপদের সময়ে মানুষদের কত টা প্রয়োজন হোক সে কাছে কিংবা দূরের।

তুমি আজ ভয় কি জিনিস যান।
তুমি আজ ভয় কে জয় করতেও শিখে গেছ......
তুমি আর আগের সেই তুমি নও...
তুমি এক নতুন তুমি.........

নিস্তব্ধ শহরেও খুজি তোমাকেই

11:30 0
নিস্তব্ধ শহরেও খুজি তোমাকেই
নিস্তব্ধ শহর✔️✔️

মাঝে মনে হয় সারা পৃথিবীটা মাথার উপর ভেঙ্গে পড়বে।
কিংবা ঈশান কোণ থেকে কালো মেঘ এসে সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
তখন সব কিছু থমকে যায়।
সমুদ্রে যখন ঝড় ওঠে তখন সারা সমুদ্র পাড়ের মানুষ গুলো টের পায়।
কিংন্তু মন থারাপ হলে কেউ টের পায় না।

মাঝে মাঝে এমন ধরনের মন খারাপ হয়।
মনে হয় তখন পুরো পৃথিবীটা আমার বিপক্ষে।
মাঝে মাঝে ভুলে যাই মন খারাপে কারণ.

যখন কাঁচের জানাল গুলোর দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দ  শহরের দিকে তাকালে মন টা খারাপ হয়ে যায়।
মনে মনে ভাবি "শহরটা কত কোলাহলময়, কিন্তু আমার কাছে কতটা নিঃশব্দ।
ভাল লাগে না সেই নিস্তব্ধতা।
দুটো জানালার মধ্যে ফাক করে দেই।
মাঝে মাঝে শিতল বাতাশ আসে।
মাঝে মাঝে বরফশীতল ঠান্ডা বাতাশ
সহ্য হয় না মাঝে মাঝে।
তখন আবার নিঃশব্দ হতে চাই।

পৃথীবি ধ্বংস হয়ে যাক। তবুও তোমাকে চাই

11:22 0
পৃথীবি ধ্বংস হয়ে যাক। তবুও তোমাকে চাই
আচ্ছা এক বার ভেবে দেখ তো। পৃথীবির শুরু থেকে আজ পযর্ন্ত কত মানুষ চলে গেল।  কিছু মানুষের স্মৃতি থেকে গেল। আর কিছু মানুষের নেই। কিচ্ছু নেই। নাম পযর্ন্ত নেই।
আমরা ও একদিন থাকবো না।
থাকবে না আমাদের নাম।
থাকবে না কোনো চিন্হ  ।  আমাদের বংশ!  আমাদের সন্তান!  আমাদের পথ সবই বিলিন হয়ে যাবে একদিন। পৃথীবির তরে পড়ে থাকবে এক একটি করব।
কোনো কোনো মানুষ জানবেই না এখানে আমি তুমি শুয়ে আছি।

এসব ভাবতে চাইনা। মাঝে মাঝে ভাবনায় চলে আসে।
যখন বিকেলের সূর্যটা অস্ত যেতে দেখি। তখনই মনেে ভেতরে কেমন করে ওঠে।
মনে হয় এই বুঝি জিবন থেকে ছিটকে গেলাম।
যখন রাত আসে তখন মনে হয় এই বুঝি শেষ রাত।
মনে হয় সকালের সূর্য টা বুঝি দেখতে পারবো না।
তুমি বলবে আমাকে মৃত্যু ভয় জড়িয়ে ধরেছে।
কিন্তু না।
বিশ্বাস করো এমন টা না।
আমি তো জানি একদিন মরতেই হবে  তাই কিসের ভয়।
আমি কেন ভয় পাই যানো?
ভয় পাই তোমার জন্য। ভয় পাই তোমাকে ভালবাসি বলে।
মনের মাঝে একটাই ভয় যে আমি পৃথীবি ছেড়ে চলে গেলে তোমাকে ভালবাসতে পারবো না।
যখন এই কথাটি ভাবি তখন মনের ভেতরে অজানা একটা ভয় গ্রাস করে।
আমি অবুজ ছোটদের মত ভয় পাই।
তোমাকে আর দেখতে পাবো না। এই কথাটি ভাবলেই বুকের বা পাশে চিন চিন করে ব্যাথা ওঠে।

নদীর পানি দেখেছ নিশ্চই? 
দেখবে এরা এক দিকে বয়ে যায়।
এদের ফেরার কোনো পথ নেই।
বৃষ্টি দেখেছ?
এরা জমিনে পড়ে গেলেই বুঝি শেষ!!!
এরা ফিরতে পারবেনা।
এদের সে ক্ষমতা নেই।
এসব কিসের চিন্হ  জানো?
ভয়!  ভয়ের চিন্হ!!!!
আমার ও কি মনে হয় জানো?
আমি যদি পৃথীবি ছেড়ে চলে যাই
তাহলে তো ফিরে আসতে পারবো না।
তোমাকে ভালবাসতেও পারবো না।
তাই আমি প্রচন্ড ভয় পাই।
এখন একা একা অন্ধকারে হাটা ছেড়ে দিয়েছি।
কেন যেন ভয় হয়।
একটা সময় যখন তুমি ছিলে।
তখন আমি তোমার সাথে কথা বলতে বলতে কখন রুম থেকে বেরিয়ে পথের ধারে চলে আসতাম টেরই পেতাম না।
তখন মোটেও ভয় হতো না।
এখন কেন যেন ভয় পাই।
তুমি পাশে নেই এটা কি  তার কোনো কারণ?
না!! তা হবে কেন?
আবার হতেও তো পারে।
আমি টিক বলতে পারছি না ।

Thursday, February 28, 2019

তোমাকে না বলা যতকথা Tumake Na Bola joto Kotha

22:47 0
তোমাকে না বলা যতকথা Tumake Na Bola joto Kotha

তোমাকে না বলা যত কথা

-লুৎফুর রহমান

আচ্ছা? তুমি কি আগের মতই আছ?
আগের মত তুমি থাকবে কেন বলুতো?
আচ্ছা আগের মতই কি তুমি পড়াশেষ করে মোবাইল নিয়ে বসে পড়?
বসে বসে অপারে থাকা কাউ কে অনলাইনে আসার জন্য কল দাও?
হয়তো দাও।
আচ্ছা এখন কি তুমি খুব কষ্ট পেলে কাঁদ?

আচ্ছা এখন কি তোমাকে কেউ খুব কাছে টেনে নেবার গল্প লিখে?
আচ্ছা এখন কি তুমি খুব রাত করে ঘুমাও? কিংবা কোনো কোনো রাত তুমি ঘুমাও না,  জেগে জেগে রাত চলে যায়।  হঠাৎ তুমি টের পাও রাত থেকে ভোর হয়ে গেছে।  ফজরের আজান দিয়ে দিয়েছে মুআজ্জিন।
আচ্ছা তোমাকে কি কেউ বলে "এই অনেক রাত হয়ে গেছে এখন ঘুমাও"
আচ্ছা তুমি কি এখন খুব গভির করে নিশ্বাস নিয়ে কারো জন্য অপেক্ষা কর যে তোমার সাড়া দেয় না।
আচ্ছা তুমি কি এখন অপেক্ষা কর তার জন্য যে, আজ আসবে না।
আচ্ছা "সে আসবে না জেনেও তুমি অপেক্ষা করছ" এমন কোনো দিন কেটেছে? 
আচ্ছা? এখন কি কাউ কে ভালবাসো?
আজ কি ইচ্ছে করছে যান?
আজ ইচ্ছে করছে তোমাকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদতে।
ইচ্ছে করছে কেঁদে কেঁদে জিঞ্জেস করি "তুমি কি এখন কাঁদতে পার?
নিয়তি এমন কেন বলতো?
যা চাই তা কখনোই হয় না?
যানো? আমি এখন সব সময় ভালো থাকি।
তুমি আমাকে বলতে না "সব সময় ভালো থাকবা,  হাসি খুশি থাকবা"
হ্যাঁ তাই করি।
তবে ভুল একটা কাজও করি।
তোমাকে মাঝে মাঝে মনে পড়ে যায়।
খুব খুব অপরাধের কাজ হল এটা।
তোমাকে মনে পড়লে নিজেকে কেমন যেন অপরাধী মনে হয়। 
আচ্ছা একটা কথা জিঙ্গাস করতে ভুলি গেছি ।
"তুমি কি এখন কাউ কে মিস করো? যে তোমাকে শুধু কষ্টই দিত?
বিস্বাস করো আগের সেই আমি একদম ই নেই এখন আমি আগের আমির চাইতে অনেক পাল্টে গেছি।
তবে হয় কি জানো?
মাঝে মাঝে বিশাল আকাঁশ টা কোলো হয়ে আসে।
আমি ভয় পাই কালো আকাশ টা দেখে।
ভয় আমার কম ছিল না তোমাকে নিয়ে তবে এর চেয়ে নিশ্চই কম ছিল।
মাঝে মাঝে হয় কি জানো? 
মনটা ভারি আর বিশন্ন হয়ে পড়ে।
আমার মনের সমুদ্রে ঝড় উটে। 
আর চোখের পানি আটকাতে পারিনা।
তখন নিজে নিজে হাসি নিজেকে নিয়ে।
আমি কত বোকা তাই না? 
কতটা বোকা হলে মানুষ একটা না পাওয়া বস্তুর জন্য কাঁদে  বলুতো?
কতটা বোকা হলে মানুষ একটা অপরাধীর জন্য কাঁদে?
কতটা বোকা হলে একটা মানুষ কে একটা মানুষ নিরবে তার কথা বিস্বাস কর যায়?

জানি আমার কথা গুলি বৃথা। 
না তুমি পড়বে না তোমার কাছে পৌছবে
তবে হবে কি জানো?
এটা হাজার বছর থেকে যাবে
হাজার বছর থেকে যাবে কোনো এক বেঈমান
কে নিয়ে কথিত অসমাপ্ত  গল্পের লিখা গুলো।
কালে সাক্ষী হয়ে থাকবে।
জন্ম থেকে জন্মান্তরে বেচে থাকবে আমার কথা গুলি।
হাজার, লক্ষ, কোটি ঘন্টা চলে যাবে
একটা শতাব্দী থেকে আরেক শতাব্দী আসবে।
তবুও বেচে থাকবে আমার কণ্ঠে উচ্ছারিত হওয়া কথা গুলি।


জানো? এখন আর আমি তোমাকে নিয়ে ভাবি না
ভেবে কি হবে ও না জানি
তোমার পথ আর আমার পথ কতটা ভিন্ন
সে সম্পর্কে তুমি ভালই জানো?
তবে হবে কি জানো?

যখন কোনো অচেনা জায়গায় যাব
তখন সেখানেও তোমাকে খুজব
আমি বুঝতেই পারবো না যে আমি তোমাকে খুজে চলেছি।
আমার মন বলবে আমি তোমাকে টিকই পেঢে যাব
কিন্তু আমি তো তোমাকে কখনোই পাব না।

হয়তো কোনো এক বিকেলে তোমাকে ভেবে খুব মন খারাপ হবে
তখন পুরো বিকেল টা আমি অস্ত যাওয়া সূর্যের পানে চেয়ে কাটিয়ে দিব।
অথবা কোনো এক রাতে তোমার কথা মনে পড়লে
রাতের আকাশে তারা গুলির পানে তাকিয়ে রাত টা কাটিয়ে দিব।
তবে হবে কি জানো?
তুমি বুঝবেই না তোমাকে কেউ এত টা ভাল বাসতে পারে।
তুমি বুঝবেই না তুমি নামক মানুষটা একটা মানুষের মনে পুরোটা জিবনের জন্য গেথে গেছ।
তুমি বুঝতেই পারবে সে তোমার কতটা কাছাকাছি।
তুমি তাকে এক মুহূর্তের জন্য হয়তো মনে করবে না।
কিন্তু সে?
টিকই তার সম্পর্ণ সময় তোমাকে ভেবে কাটিয়ে দিচ্ছে!
তা তো তুমি কোনো দিন জানতেই পারবে না।

ভালোবাস বলতে তুমি কি বুঝ তা আমি জানি না।
তবে ভালবাসা কি সেটা সে হয়তো তোমাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল।
বিস্বাশ করো!  তুমি আসলেই ভালবাসা কি জানো না!!!
আসলে জানার চেষ্টাও করো নি।
এই দেখ! তোমাকে খামুখা দোষ দিয়েই যাচ্ছি। 
আসলে আমিই তোমাকে ভালবাসা কি তা বুঝাতে পারি নি।
পারি নি বলে তুমি সত্যিকার অর্থের ভালবাসার সন্ধান পাও নি।

জানো? পৃথীবিতে কেউ কোনো দিন ভালবাসা না পেঢে মরে যায়নি।
তবে এমন অনেক আছে যারা ভালবাসা পেয়ে মরে গেছে। 
আমি না হয় তাদের দলেই থাকলাম।
তুমি নেই তো কি হয়েছে। 
আমার কাছে ভালবাসা বলতে যদি কিছু না থাকে
তবে ভালবাসা দিয়ে  কি করব?
তাহলে?
তার সমাধান একাকিত্ব।
হে সত্যিই আমি একাকিত্ব কে বরণ করে নিয়েছি।
ভাল থাকার  চেষ্টা করছি, 
হয়ত থাকবো হয়তো না।
তবে তুমি ভালো থেক।

অসমাপ্ত ভালবাসার আর্তনাদ Osomapoto Valobasar Artonad Sad Love Story

22:34 1
অসমাপ্ত ভালবাসার আর্তনাদ Osomapoto Valobasar Artonad Sad Love Story

কান্নার আরেক নাম ভালবাসা

-লুৎফুর রহমান
আসলে কান্না কি আমার জানা নেই।
চোখের ভাষার নাম যদি কান্না হয় তাহলে তার বাইরের দৃশ্য টা কি আদৌ ভিতরের বয়ে যাওয়া কান্নার বহিঃপ্রকাশ!!!

যানেন এই তো সে দিন আগে যখন আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আমার মনের কথা লিখতাম
আর চোখ ভেজা কান্নায় আমার মাথার নিচে থাকা বালিশ টা ভিঁজে একাকার হয়ে যে
 তখন আমি বুঝতাম কান্না কি!

আমি যখন বলতাম
আমার ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে
 তখন আমি বুঝতাম কষ্ট কাকে বলে।

আমার চোখ বেয়ে এত বেশ
 পানি ঝরে পড়ত যে আমি
চোখে টিক মত দেখতাম না আমি কি লিখছি

আমার কান্না ভেজা প্রতিটা
শব্দে কারো না কারো মনে এমন ভাবে আগাত করত যে,  সে ও লিখা
 গুলো পড়তে পড়তে কাঁদতে কাঁতদে বেহুঁশ হবার উপক্রম।
আমার ভেতরে যতগগুলো কষ্ট আছে, 
যত বেশি পারা যায় আমি বলতাম
আমি চোখের পানি কতটুকু
আমি বুঝাতে চেষ্টা করতাম
আমার প্রতিটি শব্দ যেন
এক একটা কান্নার ফোঁটা!

আমি আমার চেয়ে পৃথিবীতে
আর কেউ নেই যে এত কষ্টে আছে।
যার কান্না ছাড়া দ্বীতিয় কোনো উপায় নেই।
নেই পালিয়ে যাবার মত কোনো ভিন্ন জগৎ

পৃথিবীর মানুষ গুলো বেইমান
 নাকি আমি বেইমান
নাকি আমার চোখের প্রতিটি
কান্না মিশ্রিত পানি কণা মিথ্যে? 
আমি আমিও বুঝতে পারি নি।
আমি আমি বুঝতে পারি নি
এই বিশাল পৃথীবির বুকে
 আমার টিকানাই বা কোথায়? 
আমি কি শুধুই একটা সত্যের সাক্ষ্য? 
আমার কি পৃথীবির কাছে কিছুই
 চাওয়ার নেই?

প্রতিহিংসার আগুনের দগ্ধ মানুষ
গুলো তো এমন হয় না  
যত টা আমি হয়েছি!
আমি আমার সুন্দর প্রতিটি
 মুহূর্তকে এক একটা যুগের
 চেয়ে ও বেশি বড় করে দেখতে শিখেছি।

শিখেছি কি ভাবে লালন করত
 হয় মনে ভেতর কিছু আবেগ অনুভূতি.  কিংবা আমার
মনের সত্যকে আমি লালন করতে শিখেছি।

হাজার কথা বলেও কেন মনের
কথা বুঝাতে পারি না আমি জানি না।
কেনই বা পারি না?  আমার কি
পারা উচিত নয়?
বরং...
চিৎকার করে করে গলা ফাটিয়
 পৃথীবির প্রত্যেক  মানুষ কে,
জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল
 " আমি কত টা নিপিড়িত নিঃপেশিত"
আমার বলার মত ভাষা আমি কি হারিয়ে ফেলেছি?
আমার সেই মন কি
আমার পোড়ে ছারখার
 হয়ে গেছে হিংসার প্রতিহিংসার আগুনে?

আমি কি হারিয়ে ফেলেছি আমার সত্য টা কে?

কেনই বা আমি হারিয়ে ফেলব?
এই বিশার প্রস্তরময় পৃথীবির কাছে ছোট্ট এই মাংশপিন্ড যে কিছুই নয় তা
অনেক আগেই বুঝতে শিখে নিয়েছি.........

স্বপ্নের ঘোরে কিংবা সত্যিকার
 অর্থে আর কান্না হয় না!
বলা হয় না """"আমার ভেতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে........."


তোমার আমার দূরত্ব Distance Between You And Me

22:14 0
তোমার আমার দূরত্ব Distance Between You And Me
Tricksbossbd


আজ আমার আকাশটা এত ভিষন্ন কেন বলোতো?
আমার আকাশের মেঘ গুলো আজ অন্য রকমের হয়ে গেল।
তোমার আকাশ টা দেখ? কতটা রঙ্গিন আলোয় আলোকিত।
তোমার রৌদ্রময়, আলোময় সময় গুলোর জন্য তোমাকে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে হয় না।
তবে আমি প্রার্থনা করি।
প্রভু যেন তোমাকে সব্বোর্চ্চ ভাল রাখেন।

আজ আমার মনটা এত খারাপ কেন বলোতো? 
আমার পৃথীবিটা আজ ধূষর হয়ে গেছে।

অনেক দিন পর আজ তোমাকে অন্য রকম অনুভব করছি।
তোমাকে আজ আমি চিনতেই পারিনি।
বিস্বাস করো আমি আজ তোমাকে কেন যেন চিনতে পারিনি।
আচ্ছা তুমি কি সত্যিই আগের মতই আছ?
হয়তো তুমি আছো!
কিন্ত আমার বিস্বাস হয় না।
তুমি আগের মতো নও
তোমার আকাশ টা আজ আলোময়,
জানো? আমি মনে করতাম পৃথীবির এমন কি কোনো মানুৃষ আছে যার দুঃখ বলতে কিছু নেই?
আমি অনেক খুজেছি।
কিন্তু বিস্বাশ করো আমি আমার চারপাশের সব মানুষ দেখেছি।
তবে পাইনি।
শেষ পযর্ন্ত আমি বুঝতে পারলাম আমার জানা একজন মানুষ আছে যার সত্যিই কোনো দুঃখ নেই।

আচ্ছা আমাদের দূরত্ব টা এত বেশি কেন? 
তুমি হয়তো ভাবই না এসব নিয়ে।
আমি বেচে আছি এই তুমি যান।
কিন্তু আমি কবেই মরে গেছি তা আজও তুমি জানলে না।
জানো? 
আগে মনে করতাম তুমিই একমাত্র একজন যে আমাকে বুঝতে পারবে।
যে আমাকে পরিবর্তন করতে পারবে।
কিন্তু হল কি? 
এই দেখ, আমি কোথায় থেকে কোথায় চলে যাচ্ছি।
কীর্বোড হাতের কাছে থাকলেই কোথায় থেকে কোথায় চলে যাই আমি ভাবতেই পারি না।
শেষে একটা আবদার করবো

আমি একটা জিনিস চাই তোমার কাছে।
"তুমি সব সময় ভাল থেক, সুধু একটা বার কোনো এক সন্ধ্যায় আমাকে ভেবে যখন তোমার খারাপ লাগবে তখন নামাজে দাড়িয়ে আমার মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা করো, যখন কোনো একদিন গাড়িতে বসে তোমার চুল গুলো এলিয়ে দিয়ে রাস্তার পানে তাকিয়ে থাকবে বিষন্ন মন নিয়ে তখন আমার জন্য দোয়া করে দিও যেন কোনো একদিন আমি কোনো এক একসিডেন্টে প্রচন্ড ভাবে আঘাত পেয়ে কাঁতরাতে কাঁতরাতে মারা যাই"

জানো তো? মন থেকে দোয়া করলে সব পাওয়া যায়।
সুধু দোয়া করো "মৃত দেহটার যেন নাম টা লাশ হয় তাড়াতাড়ি! "

আমার আরেকটি আবদার রাখবে? 
"যখন শুনবে আমার মৃত্যু হয়েগেছে তখন ফুপিয়ে ফুপিয়ে একটা কাঁদবে আর বলবে পৃথীবির সব থেকে খারাপ ছেলেটার মৃত্যুতে আমি খুশি।

জানি তুমি আমাকে দেখতে আসবে না।
আসবে না আমার কুলখানি তে
আমি তো জানি"যে আসার নয় সে তো আমার জন্য আগরবাতি জ্বালাতেও আসবেন"