কান্নার আরেক নাম ভালবাসা
-লুৎফুর রহমান
আসলে কান্না কি আমার জানা নেই।চোখের ভাষার নাম যদি কান্না হয় তাহলে তার বাইরের দৃশ্য টা কি আদৌ ভিতরের বয়ে যাওয়া কান্নার বহিঃপ্রকাশ!!!
যানেন এই তো সে দিন আগে যখন আমি ঘন্টার পর ঘন্টা আমার মনের কথা লিখতাম
আর চোখ ভেজা কান্নায় আমার মাথার নিচে থাকা বালিশ টা ভিঁজে একাকার হয়ে যে
তখন আমি বুঝতাম কান্না কি!
আমি যখন বলতাম
আমার ভিতরটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে
তখন আমি বুঝতাম কষ্ট কাকে বলে।
আমার চোখ বেয়ে এত বেশ
পানি ঝরে পড়ত যে আমি
চোখে টিক মত দেখতাম না আমি কি লিখছি
আমার কান্না ভেজা প্রতিটা
শব্দে কারো না কারো মনে এমন ভাবে আগাত করত যে, সে ও লিখা
গুলো পড়তে পড়তে কাঁদতে কাঁতদে বেহুঁশ হবার উপক্রম।
আমার ভেতরে যতগগুলো কষ্ট আছে,
যত বেশি পারা যায় আমি বলতাম
আমি চোখের পানি কতটুকু
আমি বুঝাতে চেষ্টা করতাম
আমার প্রতিটি শব্দ যেন
এক একটা কান্নার ফোঁটা!
আমি আমার চেয়ে পৃথিবীতে
আর কেউ নেই যে এত কষ্টে আছে।
যার কান্না ছাড়া দ্বীতিয় কোনো উপায় নেই।
নেই পালিয়ে যাবার মত কোনো ভিন্ন জগৎ
পৃথিবীর মানুষ গুলো বেইমান
নাকি আমি বেইমান
নাকি আমার চোখের প্রতিটি
কান্না মিশ্রিত পানি কণা মিথ্যে?
আমি আমিও বুঝতে পারি নি।
আমি আমি বুঝতে পারি নি
এই বিশাল পৃথীবির বুকে
আমার টিকানাই বা কোথায়?
আমি কি শুধুই একটা সত্যের সাক্ষ্য?
আমার কি পৃথীবির কাছে কিছুই
চাওয়ার নেই?
প্রতিহিংসার আগুনের দগ্ধ মানুষ
গুলো তো এমন হয় না
যত টা আমি হয়েছি!
আমি আমার সুন্দর প্রতিটি
মুহূর্তকে এক একটা যুগের
চেয়ে ও বেশি বড় করে দেখতে শিখেছি।
শিখেছি কি ভাবে লালন করত
হয় মনে ভেতর কিছু আবেগ অনুভূতি. কিংবা আমার
মনের সত্যকে আমি লালন করতে শিখেছি।
হাজার কথা বলেও কেন মনের
কথা বুঝাতে পারি না আমি জানি না।
কেনই বা পারি না? আমার কি
পারা উচিত নয়?
বরং...
চিৎকার করে করে গলা ফাটিয়
পৃথীবির প্রত্যেক মানুষ কে,
জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল
" আমি কত টা নিপিড়িত নিঃপেশিত"
আমার বলার মত ভাষা আমি কি হারিয়ে ফেলেছি?
আমার সেই মন কি
আমার পোড়ে ছারখার
হয়ে গেছে হিংসার প্রতিহিংসার আগুনে?
আমি কি হারিয়ে ফেলেছি আমার সত্য টা কে?
কেনই বা আমি হারিয়ে ফেলব?
এই বিশার প্রস্তরময় পৃথীবির কাছে ছোট্ট এই মাংশপিন্ড যে কিছুই নয় তা
অনেক আগেই বুঝতে শিখে নিয়েছি.........
স্বপ্নের ঘোরে কিংবা সত্যিকার
অর্থে আর কান্না হয় না!
বলা হয় না """"আমার ভেতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে........."
1 Comments
nice
ReplyDelete