Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার কারণ এবং এর সমাধান

এডসেন্স এপ্রোভ কেন হয় না


আপনি যেহেতু আমার এই পোস্ট পড়তেছেন তাহলে ধরেই নিচ্ছি আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে।

এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার কারণ কি এবং এর সমাধান


আর এটাও একটা সমস্যা যে,  আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রোভ করাতে পারছেন না।। আর যেহেতু এডসেন্স এড করাতে পারছেন না সেহেতু টাকা ইনকাম করতে পারছেন না কিভাবে একটি ওয়েবসাইট শুরু করবেন এডসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন এই সবকিছু নিয়ে আজকের এই পোস্ট.

এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার কারণ কি এবং এর সমাধান



পোষ্ট শুরু করার আগে আপনাকে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিই। এতে করে আপনার কিছু ভুল ধারণা ভেঙে যাবে। 


আমি আমার সাইটের (মূলত সাইটটি ব্লগে) যখন কাজ শুরু করি তখন সাল ছিল ২০১৯.

মোটামুটি ৬-৭ মাস পোষ্ট লিখি। সবগুলো যে ১০০% ইউনিক তাও না। বেশির ভাগ পোষ্টের কনসেপ্ট সার্চ থেকেই নিতাম। 

সর্বমোট ৬০ টার মতো পোষ্ট করি। কিছু কিছু পোস্ট মাত্র ৮০-১০০ শব্দের বিশ্বাস না হলে দেখে আসুন আমার সাইটের পোস্ট।  তো, তিন মাস পর এডসেন্সের জন্য আবেদন করি। কিন্তু ঐ টা তখন বুঝি নাই যে ঐ আবেদন টা করাই হয় নি৷ তাই ছেড়ে দিলাম। 


আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আজকের পোষ্ট করতে যাচ্ছি।  আপনি যদি খুব খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন যে,  আমার অভিজ্ঞতার মাঝখানে কিছু হিন্টস দিয়ে দিছি।

তো, একটি ওয়েবসাইট এর কতটুকু বয়স  বা কতটুকু কন্টেন্ট কিংবা কি কি থাকলে একটি ওয়েবসাইট এডসেন্স পাবার যোগ্য হবে সে গুলো নিয়ে আজ কথা বলবো।

পড়ার সুবিধার্থে আমি বলে রাখছি যে, আমি তিনটি বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখবো এবং এই তিনটি বিষয়ই প্রধান


কনটেন্ট

এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার কারণ কি এবং এর সমাধান


যখন কনটেন্ট নিয়ে কথা বলতেছি তখন একটু হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট ভার্সেস লো কোয়ালিটি কনটেন্ট সম্পর্কে একটু কথা বলি।হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট কি সেটা বুঝতে হলে একটি উদাহরণ বুঝতে হবে।

ধরুণ, আপনি বাজারে নতুন একটি পণ্য নিয়ে আসলেন এই পণ্যটি খুবই ছোট একটি পণ্য কিন্তু পণ্যটির বাজার চাহিদা খুব বেশি যেহেতু পণ্যটি খুব কাজের একটা জিনিস তাই বাজারে একটু চাহিদা বেশি অপরপক্ষে অন্য একটি কোম্পানি অনেক বড় প্রোডাক্ট নিয়ে আসলো কিন্তু তাদের প্রোডাক্টের কোন বাজার মূল্য নেই তার কারণ হলো এটি কোন কাজের না মানুষের কোন উপকারে আসে না বা কেউ কিনে না আশা করি এই উদাহরণ দ্বারা এটি স্পষ্ট যে এমন একটি কনটেন্ট হলো হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট যার আয়তন ছোট হলেও এটি মানুষের কাছে মূল্য আছে, মানুষ এটি খোঁজে অন্যদিকে low-quality কনটেন্ট হলো যেটি অনেক বড় কিন্তু মানুষ এটা খুঁজে না কিংবা এটি কারো কোন কাজে আসে না। 

তো আসলেই কনটেন্ট কোয়ালিটি কি সেটি হয়তো ইতিমধ্যে বুঝে নিয়েছেন। ছোট করে বললে, হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট হলো এমন একটি কনটেন্ট যেটি মানুষ খুঁজে সেটি হোক অল্প অর্থাৎ ছোট কিংবা বড় তো চলুন এখন দেখি নেই যে অ্যাডসেন্স কনটেন্ট কোয়ালিটির জন্য এডসেন্স কেন দেয় না?


এডসেন্সের জন্য আবেদন করে যারা তাদের ৬০% ই এই জিনিসের(কনটেন্টের) জন্য রিজেক্ট খায়। কিংবা তারও বেশি লোক।

আপনাকে লজিক্যাল একটা প্রশ্ন এখানে করতে চাই! ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। সেটিতে এডসেন্স নিতে চান। তো গুগলের কাছে আবেদন করলেন। এখন গুগল যদি দেখে আমার ওয়েবসাইটে টিক মতো পোষ্টই নাই তাহলে তারা এড দেখাবেই বা কোথায় আর আপনিই বা এড কোথায় বসাবেন।

এসব না করেই অনেকে fb তে পোষ্ট করেন "ভাইয়া আমার সাইটা কি হয়েছে? এডসেন্স এপ্রোভ হয় না কেন?"

আরে বাড়া গাছ ভাল ভাবে না লাগিয়ে কি ফল খাবেন? তো কেমন হবে এই কনটেন্ট?  কিভাবে কনটেন্ট ভাল করবো? ভাল কনটেন্ট কি? এসব নিয়ে প্রথমে লিখছি।


কত শব্দের মাঝে পোষ্ট লিখবো?


গুগল চায় প্রতিটি কনটেন্ট বা পোষ্ট হতে হবে ২০০০+ শব্দের। এটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যাদের ইচ্ছে আছে গুগল সার্চে রেঙ্ক করবার। অর্থ্যাৎ, আপনার কনটেন্ট যদি ২০০০+ শব্দের হয় তবে, সেটি হবে High Quality Content .


আর যদি আপনার টার্গেট থাকে এডসেন্স তবে,  পোষ্টে ইচ্ছেমতো শব্দ নিয়ে লিখতে পারেন। সমস্যা নাই। ঐ যে, বললাম না। আমার কিছু পোস্ট মাত্র ১০০ শব্দের মধ্যে। 

তো, প্রথম শর্ত হলো গুড কোয়ালিটির পোষ্ট বা কনটেন্ট।

এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে,  ধরন আপনি কম সময়ের মধ্যে এডসেন্স পেতে চাচ্ছেন তো এর জন্য আপনাকে হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে তার মানে হলো আপনি আর না পারেন মোটামুটি প্রতিটি পোস্টে 1000+ শব্দ লেখবেন। তাহলে হবে কি যখন গুগোল আপনার ওয়েবসাইটকে রিভিউ করবে তখন গুগল দেখবে যে কম সময়ের মধ্যে আপনার সাইটে এডসেন্স নিতে চাচ্ছেন অথবা আপনার সাইটের বয়স কম এবং আপনার ডোমেইন এর বয়সও কম সে ক্ষেত্রে গুগল আপনাকে অ্যাডসেন্স নাও দিতে পারে এর জন্য কি করতে হবে? এর জন্য আপনাকে হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখতে হবে হাই কোয়ালিটি কন্টাক্ট মানে হল একটি ভাল পোস্ট যেখানে 1000 বা 1500+ শব্দ থাকবে এবং সাথে ভালো হাই কোয়ালিটির ইমেজ ছবি থাকবে এবং অবশ্যই হাই বা মিডিয়াম সার্চ ভলিউম থাকবে।


কতটি পোষ্ট লিখতে হবে? 


আপনি যদি কষ্ট বেশি করেন তাহলে মিনিমাম ১৫০০+ শব্দের মাঝে পোষ্ট লিখবেন। তাহলে ২৫+ পোস্ট হলে চলবে। কিন্তু যদি কষ্ট কম করেন। তাহলে  এর জন্য আপনাকে আবার বাড়তি কষ্ট করতে হবে। কি করতে হবে? অবশ্যই ৫০+ পোষ্ট লাগবে ওয়েবসাইটে।

তো, এডসেন্স এপ্রোভ পেতে ২য় শর্ত হলো ৫০+ পোস্ট। 


সাইটের বয়স কতদিন হতে হবে?


ডোমেইন এর বয়স যতবেশি হবে তত বেশি সম্ভাবনা থাকে এডসেন্স পাবার। কারণ?  আমার সাইটের বয়স প্রায় ৩ বছরের কাছাকাছি।  অনেক লো কোয়ালটি কনটেন্ট থাকার পরেও ডোমেইনের বয়স/ সাইটের বেশি হওয়ায় এডসেন্স পাইছি।

তো মিনিমাম ২-৩ মাস সাইট খুলার পর এডসেন্সের জন্য আবেদন করবেন এখানে বলে রাখা ভালো ভুলেও ইউটিউবারদের কথা শুনে এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এডসেন্সের এর জন্য আবেদন করবেন না।


কপিরাইট, লিংক শেয়ার, স্প্যামিং, হ্যাকিং


আমার দেখা ২০% মানুষ রিজেক্ট খায় এই কারণ গুলোর জন্য। 

আপনাকে প্রতিটি পোষ্ট মাস্টবি ১০০% ইউনিক হতেই হবে। আমি এখানে জিরো ঠলারেন্স রাখবো। কিছুতেই আপনাকে কপিরাইট আইনের আওতায় পড়ে এমন পোষ্ট লিখতে পারবেন না৷ অনেকেই বলে যে 80-90% ইউনিক হলেই চলবে কিন্তু আমি এখানে যেহেতু আপনাকে একটা টার্গেট দিয়েছে যে আপনি দু মাসের মধ্যে এডসেন্স পাবেন তাই অবশ্যই অবশ্যই হান্ডেট পার্সেন্ট ইউনিক পোস্ট হতে হবে এক পারসেন্টও কপিরাইট হলে চলবে না।

কপিরাইট চেক করতে পারেন এই ওয়েবসাইটে

তারপর হলো লিংক : আপনার সাইটে কোনো মতেই ডাউনলোড লিংক দিতে পারবেন না। কিংবা এমন সাইটের রেফারেন্স লিংক দিতে পারবেন না যেটি ব্রোকেন। দেখা গেল এমন একটি লিংক শেয়ার করলেন যে লিঙ্কটির ভিতরে ঢুকলে ওই পেজটা আসেনা 404 Error আসে। এমন লিংক শেয়ার করা যাবে না


স্প্যামিং এবং হ্যাকিং : যতক্ষণ না পযর্ন্ত এডসেন্স না পাচ্ছেন ততক্ষণ পযন্ত একটা শব্দও হ্যাকিং নিয়ে লিখতে পারবেন না।

 কিংবা ট্রাকিং অ্যাপস অথবা মুড অ্যাপ ইত্যাদি লিংক শেয়ার করা যাবে না 


ছবি: আপনি  ওয়েবসাইটে যে ইমেজ ব্যবহার করবেন সেটিও অবশ্যই ইউনিক হতে হবে কোনো কপিরাইট হলে চলবে না কিভাবে কপিরাইট মুক্ত ছবি ডাউনলোড করবেন এখানে দেখতে পারেন


এছাড়াও ভুল মিথ্যা বা ক্ষতিকর তথ্য এমন কিছু প্রাণী আছে যে প্রাণীগুলোর শিং, চামড়া এ গুলোর ছবি দেওয়া যাবে না। যেমন বাঘের চামড়া এবং হরিণের শিং এগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্যও দেওয়া যাবে না


এখন আসবো তৃতীয় একটি পর্যায়ে। এ পর্যায়ে কথা বলবো Page নিয়ে।

যে গুলো হলো : About us, Contact us, Privacy Policy. এডসেন্স এর জন্য যখন এপ্লাই করবেন তার আগে অবশ্যই  এই পেইজগুলো ওয়েব সাইটে এড করা লাগবেই লাগবে এগুলো ছাড়া কখনই গুগল এডসেন্স দেবে না তো চলুন দেখে নেই এই পেজ গুলো কিভাবে ক্রিয়েট করতে হয় কিভাবে তৈরি করতে হয়


About us: এটি হলো আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ফুল ডিটেইলস তথ্য থাকবে এটি ইন্টারনেটে কিছু  সাইট আছে

এবাউট আস ক্রিয়েট করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট দিয়ে খুব সহজে এই পেজটি ক্রিয়েট করতে পারবেন এমনকি আমি নিজের ওয়েবসাইটের জন্যও ক্রিয়েট করছি।


Contact us: এটি মূলত একটি ফার্মের মত থাকে .এই ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম টি তৈরী করে নিবেন


Privacy policy : প্রাইভেসি পলিসি পেইজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইটের জন্য এটিও অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে জেনারেট করা যায় এই লিংকের ওয়েবসাইট দিয়ে আমি নিজে আমার ওয়েব সাইটের জন্য প্রাইভেসি পলিসি পেইজ ক্রিয়েট করেছি আপনি নিজে করতে পারবেন

Blog Seo

Blog Seo জি হা অবশ্যই আপনাকে ব্লগে এর নিয়োগ করতে হবে ব্লগ থেকে গুগল সার্চ কনস্যুলেট করতে হবে গুগল ওয়েবমাস্টার টুল অ্যাড করতে হবে এবং যথারীতি ভালোভাবে এসিও করতে হবে এছাড়া আপনাকে কোন সময়ে এডসেন্স দিবেনা


জি হা অবশ্যই আপনাকে ব্লগে এর Seo করতে হবে ব্লগ কে গুগল সার্চ কনস্যুলে add করতে হবে গুগল ওয়েবমাস্টার টুলে অ্যাড করতে হবে এবং যথারীতি ভালোভাবে এসইও করতে হবে এছাড়া আপনাকে কোন সময়ে এডসেন্স দিবেনা।

এডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে আরো একটি কাজ বাকি রয়েছে আপনি যখন এডসেন্স এর জন্য একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন তখন এডসেন্স একাউন্ট থেকে একটি কোড নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে বসাতে হবে। এটি কিভাবে বসাবে এবং এটি না বসালে কি হবে সেটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

তো, এই হলো তিনটি শর্ত  ।

আশা করছি, এডসেন্স এর বিষয়ে যত ভুল ধারণা বা প্রশ্ন ছিল সে গুলোর উওর পেয়েছেন। আর আমার মনে হয় না আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রোভ পেতে আর কোনো সমস্যা হবার। যদি কোনো সমস্যা হয় আমাকে জানাবেন।

এডসেন্স এপ্রোভ না হওয়ার কারণ

 

আর যদি পোষ্টটি আপনার কোনো উপকারে আসে প্লিজ পোষ্ট টি ফেইছবুকে আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করুন

Post a Comment

1 Comments