Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

আধুনিক ভালবাসার Screct Of Modern Love








ভালবাসা নামটা শুনে যুবক গুলা আজকাল হাসে।
এ যেন নতুন কোনো ফ্যাক্ট যেটা নিয়ে অট্ট হাসি না হাসলেই নয়। ভালবাসা নামক বস্তু টি আজ একটা নাম মাত্র।
নরম স্তনে হাত রেখে কায়দা করে
ভালোবাসা নামের কীটটা জাগিয়ে তুলা
আজকালকার ফ্যাশন হয়ে গেছে।
একটা প্রেমিকা কে খেয়ে ছেড়ে দিয়ে নতুন আরেক টা ধরা যেন একটা নেশা হয়েগেছে।
প্রেমিকার ব্রার সাইজটা জানেনা এমন
একজন সৎ প্রেমিক পাওয়া বর্তমান যুগের
জন্য হাস্যকর ব্যাপার একটা। পার্কের
চিপায় চিপায় যে পরিমাণ ভালোবাসা
লেনদেন হয় তার চাইতে বহুগুণ বেশি
মেসেঞ্জারে হয়ে থাকে। রাত ১২ টার পর যে মেসেইজ গুলো আদান প্রদান করা হয়, জাহান্নামে যাবার জন্য এগুলোই যথেষ্ট। খোলামেলা
পরিবেশের পর্ণ সাইডগুলির প্রতি আসক্তি
বেড়েই চলছে অনবরত। প্রেমিকার মনে
আজকাল ভালোবাসা খুঁজার চাইতে
প্রেমিকার কোমরে ভালোবাসা খুঁজা হয়
খুব করে।বুকের ভাজে খুজা হয় স্বর্গ সুখ।

হুড তুলা রিক্সাগুলি আজকাল কারণ
হিসাবে বাবা মা ভাই বোন অথবা
ফ্যামেলির কোনো মেম্বারের প্রতি ভয়টা
খুঁজে পাওয়া যায়না। প্রেমিকার তলপেটে
হাত বুলিয়ে স্বর্গ খুঁজে দেওয়ার নিয়মটাই
পাওয়া যায়।
সবার সামনে লিপ কিস করে প্রেমিকের সাহসীকতার পরিচয় নেয় প্রেমিকা।

আজকালকাল যুগে বাসর রাতের গোপনীয়
কথাগুলো দুলাভাই অথবা ভাবীর কাছে
যেয়ে শুনতে হয়না। এখন প্রতিটা ফিল্মেই
শিখিয়ে দেওয়া হয় কীভাবে বিয়ের আগে
মধু খেয়ে মৌমাছিকে তাড়িয়ে দিতে হয়।
বইয়ের পাতায় শিখানো হয় বাচ্চা ড্রপের
কাহিনী। এখন আর দোকানের ভেতরে লুকিয়ে ব্রা বিক্রি করা হয় না।  রাস্তার পাশে সবার সমানেই চলছে বেচা কেনা। কারণ এখন এগুলো লুকিয়ে রাখার সময় নয়। অপেন সেক্সের দুনিয়া এটা।
 কনডমের উপকারিতার কথা
স্পষ্টভাবে ক্লাস টেনের কৈশোর ছেলে
মেয়েকে জানিয়ে দেওয়া হয়।তারা তা কাজে লাগাও।
আজ-কাল ভালবাসা দিবসের দিনে পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হয় "ঢাকায় কনডমের ব্যাপক চাহিদা" কিংবা "শুধু ঢাকাতেই ৬ কোটি কনডম বিক্রি"

.
হোটলে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি করে
দেওয়া হয়। একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার
সাথে একান্ত নিরিবিলি কথা চালিয়ে
যায় দিব্বি করে। হুড তুলা রিক্সার অসম্পূর্ণ
কাজগুলি সম্পূর্ণ হয় হোটলের রুমে। বিয়ের
আগে সুখ দেওয়া নেওয়া হয় নিয়ম করে।
এতে করে ভার্জিনিটি নষ্ট হলেও প্রেমিকার কিংবা প্রেমিকের কি যায় আসে?
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ দেখতে সাধুর
মত। তবে, আসলে ঠিক ততোটা তারা সাধু নয়।
জানেন? যাকে সাধু ভাবতাম, তার সার্চ ইঞ্জিনের
প্রথমেই থাকে খোলামেলা পরিবেশ। ব্রাউজারের হিস্টি দেখলেই এক পলকে আন্দাজ করা যায় ছেলেটা কতটা পর্ণে আশক্ত।

কথা কম বলা মেয়েটাও বফের সাথে রাত
কাটাতে দ্বিধাবোধ করেনা। পার্কের এক কোণে বসে হিজাব টা খুলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না। কেউ না দেখলে পায়জামার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিলেই প্রেমিক চূড়ান্ত স্টেটেজে চলে গেল!

ডিজিটাল যুগে সেক্সের প্রতি যেভাবে
ছেলেরা আসক্ত ঠিক তেমনি মেয়েরাও
আসক্ত। মেয়েরা ও সমান অধিকার নিবে না তা কি হয়? তাই তো  সার্চ ইঞ্জিন চেক করলে সবচেয়ে
বেশি পর্ণ সাইডগুলিই হুমড়ি মেরে চোখের
সামনে ঝলমল করে। পুরাতন যুগের
ভালোবাসার কথা জানালে মেয়েটা বলে
উঠে তোমার কাছে আমার ফিলিংসের
কোনো মুল্য নেই। সেক্সুয়াল চ্যাটিং করলে
বুঝি ছেলেটা ফিলিংস বুঝে।না করলে ছেলেটা ক্ষ্যাত।  ভদ্র ভাষায়
চ্যাটিং করলে ভালোবাসাই চিনেনা। আধুনিকতা কি তা বুঝে না।
কী অদ্ভুত?
.
চ্যাটের ফাকে চুষে দেওয়া চলে নিয়ম করে।
পায়জামা ভিজিয়ে দেওয়া হয় পাতলা
পানিতে।  ভালোবাসা মানে জানু তুমি হট।
তোমার সেক্সি ফিগার, গোলাপি রঙের
ঠোঁট। ৩৪ সাইজের স্তন। এটাই ভালোবাসা।
আর কী বা লাগে আমার।পৃথীবিতে সুখ বলে তো তোমার সেক্সি কথা। তোমার হট ভয়েস।

আজ কালকের মেয়েদের কে প্রপোজ করলে বলে "ঐ সব ভালবাসা টালবাসা কি দোস্ত? যখন যা চাস তাই পাবি। আই লাভ ইউ কেন বলতে হবে?
এতে করে যুবক ছেলেটির সেক্সের একটা নিশ্চিত ব্যবস্থা হয়ে যায়। সন্ধ্যে হলে ব্যস একটা কনডমের পেকেট নিলেই হয়।

তবে হয় কি জানেন?
শুধু তুমি আমি মাগী বললে যা সব সমস্যা।
তুমি আমি বেশ্যা বললে সমস্যা।
বফের সাথে বেশ্যাগিরি করলে জানু তুমি অনেক ভাল।
 আর আমি তুমিবেশ্যা বলে হাক দিলে এটা গালি দিয়ে দিছি।

বিড়ালকে আজকাল শুঁটকি চোর বলা
যাবেনা। চোর কে চোর বললে তুমি খারাপ।
কারণ সে সাধু সাজতে ব্যস্ত এখন।
সময় যে এখন পরিবর্তন হয়েছে।

ভালোবাসা কখনো কামিজের ফাক
ফোকরা দেখেনা। স্তনের সাইজটা জানার
চেষ্টা করেনা। ভালোবাসা মানে দৈনিক
প্রেমিকের পিকে হটনেস খুঁজে পাওয়া না।
ভালোবাসা এক অন্য রকম ফিলিংস। যা
মনে চেপে ধরে বাঁচা যায় আজীবন।
শুদ্ধ ভাষার প্রেমের স্বাদটা অনুভব করুন।
দেখবেন পৃথিবীটা আপনার কাছে অনেক সৎ
মনে হচ্ছে।
ভালবাসা মন
চলুন না, আজ থেকে বদলে যাই।
আমার আমি থেকে বদলানোর অধ্যায়টা শুরু
করি।

Post a Comment

0 Comments